HMPV ভাইরাস - এর লক্ষণ, ঝুঁকি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা
HMPV ভাইরাস বা হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বর্তমান বিশ্বে এক প্রকার আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্যে আমরা এই ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
তাই চলুন আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে এই ভাইরাস সম্পর্কে এ ভাইরাসের লক্ষণ ঝুঁকি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে জানবো।
পেজ সূচিপত্র: HMPV ভাইরাস - এর লক্ষণ, ঝুঁকি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- HMPV ভাইরাস কি
- HMPV ভাইরাস এর লক্ষণ
- HMPV ভাইরাস কাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
- HMPV ভাইরাস এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- আমার শেষ মতামত
HMPV ভাইরাস কিঃ
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাস মূলত একটি শ্বাসনালীর ভাইরাস হিসেবে পরিচিত।বর্তমানে এই ভাইরাস চীনে দেখা গেছে বলে জানা যায়।শুধু চীন নয় এটি বর্তমানে মালয়েশিয়া, ভারত ও আমাদের বাংলাদেশেও এ ভাইরাসের দেখা মিলেছে বলে জানা যায়।এই নিয়ে বিশ্বের মানুষের মধ্যে এক নতুন আতঙ্কের দেখা দিয়েছে।
তবে বিভিন্ন গবেষক বা ডাক্তারদের মতে জানা যায় এটি বিশ্বের নতুন কোন ভাইরাস নয় অনেক আগে থেকেই বিশ্বে এই ভাইরাসের আবির্ভাব হয়েছে।তাই এটি নিয়ে অতিরিক্ত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে তারা জানিয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO- এর মতে এইচএমপিভি ভাইরাস বর্তমানে এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার প্রত্যাশিত মাত্রার মধ্যে রয়েছে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর থেকে বাঁচার জন্য সাবধানতা অবলম্বনের ওপর তারা জোর দিয়েছেন।বিশেষ করে শিশুদের এবং বয়স্কদের যাদের ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখ রয়েছে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করার ওপর জোর দিয়েছেন।
HMPV ভাইরাস এর লক্ষণঃ
বিভিন্ন গবেষক ও ডাক্তারের মতে এটি যেহেতু ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা জানিয়েছে ।তাই এইচএমপিভি ভাইরাস দ্বারা আমাদের শরীর আক্রান্ত হলে যেসব লক্ষণগুলো দেখা যাবে বলে তারা জানিয়েছেন চলুন সেগুলো জেনে নিই
- সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- শরীরে হালকা তাপমাত্রার জ্বর হতে পারে
- গলা ব্যথা হতে পারে
- কিছু কিছু সময় গায়ের র্যাস দেখা দিতে পারে
- কাশির সাথে কফ বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- শুকনো ধরনের কাশিও হতে পারে
- শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
অর্থাৎ চিকিৎসকদের মতে জানা যায় এইচএমপিভি এর উপসর্গ বা লক্ষণগুলো অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মত।
HMPV ভাইরাস কাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণঃ
সিডিসি এর মত অনুযায়ী এইচএমপিভি ভাইরাস সব বয়সের ব্যক্তির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।তবে এদের মধ্যে যাদের আক্রান্ত হওয়ার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে শিশুরা অন্যতম এছাড়াও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।শুধু শিশু এবং বয়স্ক বাদেও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম,বিভিন্ন ফুসফুস জনিত সমস্যা ভুগছে তাদের এই ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে এবং তারা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এটি তাদের শরীরে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
HMPV ভাইরাস এর প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ
চীনা বিশেষজ্ঞদের মতে এই এইচএমপিভি ভাইরাস পুরোপুরি নিরাময়ের জন্য কোন নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই বলে জানিয়েছেন।তারা ঘরোয়া চিকিৎসার ওপর বেশি জোর দিয়েছেন এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য তারা যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে চলুন সেগুলো জেনে নিই
- বিশেষজ্ঞদের মতে যেহেতু এই ভাইরাসটি হাচি কাশির মাধ্যমে ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে তাই নিয়মিত মাস্ক পরতে হবে।
- নিয়মিত ভালোভাবে হাত ধুতে হবে
- পর্যাপ্ত আলো বাতাস পূর্ণস্থানে অবস্থান করতে হবে
- অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ের মধ্যে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
- সর্দি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘরের ভিতর অবস্থান করতে হবে যাতে করে তাদের থেকে অন্যদের কাছে এটি না ছড়ায়
বিভিন্ন চীনা বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারি বলে জানিয়েছেন।
আমার শেষ মতামতঃ
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্যে আমরা যে এইচএমপিভি ভাইরাস সম্পর্কে জেনেছি সেটির লক্ষণ এ ভাইরাসটি কাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং এই ভাইরাসের প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আমি আমার আর্টিকেলে আলোচনা করেছি।আশা করছি আমার আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা এই ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
কন্টাক্ট আর্টিকেল এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url